উত্তরদিনাজপুর

রায়গঞ্জ পুরসভার নির্বাচন আগামীকাল, ভোট দেবার আগে দন্ধে রয়েছে মানুষ কে পাবে তাদের ভোট

উত্তর বঙ্গের ৫টি পুরসভার নির্বচন হতে চলেছে রবিবার। তার মধ্যে  ১৯৫১ সালে  স্থাপিত হওয়া উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ পুরসভার নির্বাচন।  ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই ভোট প্রচার শেষ হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্দ্ধ মতো নিজেদের হেবিওয়েট নেতাদের নিয়ে এসে প্রচার করেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা রবিবার সকাল ৭ টা থেকে শুরু হবে ভোট দেওয়ার পর্ব ৮৫টি ভোট কেন্দ্রে। মোট ৯৪ জন প্রার্থী ভাগ্য নির্ধারিত হবে আগামীকাল। সেই মতে পলিটেকনিক কলেজে খোলা হয়েছে পুরসভা ভোটের  ডি সি আর সি । সেখান থেকে ইভিএম ও  ভোটের অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে ভোটগ্রহন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে ভোট কর্মীরা। ১৯৫১ সালে পুরসভা গঠিত হলেও ২০০১ সাল থেকে  টানা কংগ্রেসের দখলে আছে।  ২০১১ সালের পুরসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ পুরসভার ২৫ টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৮টি, তৃনমূল কংগ্রেস ৫টি এবং বামফ্রন্টের দখলে ছিল ২টি আসন। ২টি আসন বেড়ে এবারে রায়গঞ্জ পুরসভায় মোট ২৭টি আসনে ভোটগ্রহন হচ্ছে। নির্বাচনের দিন ঘোষনার পর কংগ্রেসের ৫ জন জয়ী কাউন্সিলর তৃনমূলে যোগদান করে। একজন সিপিএম জয়ী কাউন্সিলরাও যোগদান করেন তৃনমূলে। ফলে এবারের পুরসভা নির্বাচন একদিকে যেমন কংগ্রেস চাইছে পুরবোর্ড পুনরায় দখল করতে, অপরদিকে তৃনমূলের লক্ষ্য উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের দখলে থাকা একমাত্র পুরসভা রায়গঞ্জ নিজেদের দখলে নেওয়া।

রায়গঞ্জের সাধারন মানুষের দাবি উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু কিছুটা হলেও এখনও বেশ কিছু খামতি রয়েছে শহরে। ফলে তারা এখন বুঝে উঠতে পারছেন না ভোটটি কাকে দিবেন। রায়গঞ্জে সবচেয়ে বেশি সমস্যা যানজট, দিনের পর জন সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য  শিলিগুড়ি মোর থেকে হাসপাতাল  অপরদিকে কসবা মোড়  পর্যন্ত প্রধান রাস্তা  অতিরিক্ত যানজট  হয়। জল নিকাশের ব্যবস্থা আরো উন্নত মানের করা উচিত। আগামীদিনের যেই আসুক তাদের দাবি সাধারন মানুষের সমস্যা গুলি সমাধান হক।

অপরদিকে এক স্কুল ছাত্রী বলেন রায়গঞ্জে ভোট হচ্ছে তাদের দাবি তারা শিলিগুড়ি মোড় দিয়ে বিদ্যালয়ে আসে এক দিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অপরদিকে রায়গঞ্জ -বালুঘাট রাজ্য সড়ক সেই কারনে প্রচন্ড যানজট হয় রাস্তা যদি বড় হয় তাহলে  তাদের সুবিধা হয়। কারন তাদের স্কুলে আস্তে খুব ভয় লাগে। ভোটে জেতার পর যেই আসুক তাদের দাবি যাতে তাদের সমস্যার যেন সমাধান হয়।